রহমত নিউজ 14 September, 2023 10:44 AM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, পুলিশের সব সদস্যই ভালো নেই। এক শ্রেণির পুলিশ ভালো আছে। জজ সাহেবরা দলীয় ভাষায় কথা বলছেন। যেটা জনগণ আশা করে না। আমরা যারা মুসলমান তারা বিশ্বাস করি, পরকালে জবাবদিহির। আর পরকালে বিচারকদের প্রথম জবাবদিহি করতে হবে। তারপর আমরা যারা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী ছিলাম তাদের। কারণ, আমাদের প্রতিই জনগণের বেশি আস্থা, সে আস্থা আমরা নষ্ট করতে পারি না। মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন কোর্টে যায়। আর সেখানে যদি ছায়া না পায়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় ঢাকা মহানগর ৪ এবং ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট বিতরণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ প্রমুখ।
মির্জা আব্বাস বলেন, মশা নিধনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যােগ নেই। আমি যখন মেয়র ছিলাম তখন সিঙ্গাপুর থেকে ভেজালমুক্ত ওষুধ এনেছিলাম। সে ওষুধ নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। মশা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আর আজ মশা নিয়ন্ত্রণ করতে কামান ব্যবহার করা হচ্ছে, শুধু অর্থ লুট করার জন্য। একসময় বলা হয়েছিল ভাতে মারবো, পানিতে মারবো। আর এখন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করে মানুষ মারার পায়তারা চলছে। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন মানুষ নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার যুবককে গুম করা হয়েছে। আমার সামনে আমার বন্ধু বাবুলকে তুলে নেওয়া হলো, আর তার হদিস পাওয়া যায়নি। আজকের আওয়ামী লীগও তা করছে। শুধু বিএনপি করার অপরাধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই রেহাই নেই। আজ ডিসি (জেলা প্রশাসক) সরাসরি নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। সারাদেশেই দলীয় লোকদের প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রসাশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নতুবা এ দেশের মানুষ কোনো নির্বাচন মানবে না। আজ ক্ষমতাসীনরা মাঠ-ঘাট সব দখল করছে। সব অনাচার অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই দখলবাজ, লুটেরা সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা দক্ষিণ